কোটা আন্দোলনের সময় হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ ছিল একান্তভাবে সক্রিয়। কোটা প্রথার পক্ষে আদালতের রায়ের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের শুরুটা ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকে। হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি তাদের ন্যায়সঙ্গত এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মাঠে নামে। কর্মীদের হাতে ছিল পানি, শরবতের বোতল আর শুকনো খাবার। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে তারা শিক্ষার্থীদের পানি ও খাবার সরবরাহ করে।
সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছাত্রদের ওপর একযোগে হামলা চালানো হয়। এমন পরিস্থিতিতেও হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির কর্মীরা বসে ছিল না। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, গ্রেফতার আতংক এবং পরিবারের মায়া উপেক্ষা করে ঢাকার পথে পথে ঘুরে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে। পানি, খাবারের পাশাপাশি এবার যোগ হয় চিকিৎসা সেবা। কর্মীরা আহতদের ধরে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। আর্থিকভাবে দুর্বল আহতদের হাতে নগদ অর্থও তুলে দেয়া হয়।
সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে। ইন্টারনেট, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকলেও হাফেজ্জী চ্যারিটেবলের কর্মীরা দূর দূরান্ত থেকে মুহাম্মাদপুরের কার্যালয়ে জড়ো হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কীভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সহায়তা পৌঁছানো যায়। নামাজ পড়ে দোয়া করার পর কর্মীরা কারফিউয়ের সময় সেবা দিতে বেরিয়ে পড়ে।
আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করে। এলোমেলো গুলিতে বহু মানুষ প্রাণ হারায়। তবে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির কর্মীরা বসে থাকেনি। পানি ও খাবার বিতরণ, চিকিৎসা সেবা চলতে থাকে নিয়মিত। প্রতিদিন কর্মীরা আহতদের নিয়ে হাসপাতালে যায় এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
অবশেষে সেই ভয়াল দিন কেটে যায়। দেশের আকাশে বাতাসে স্বস্তি ফিরে আসে। বহু রক্তের নদী পেরিয়েই শান্তি ও সুখের দেখা মেলে। আলহামদুলিল্লাহ, আহতদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে হাফেজ্জী চ্যারিটেবলের কার্যক্রম এখনও চলমান। বর্তমানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ছাত্রদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা রয়েছে।
হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ আলেমকুল শিরোমণি হজরত হাফেজ্জী হুজুরের নামে গড়ে ওঠা একটি সরকারি নিবন্ধনভুক্ত অরাজনৈতিক সেবা সংস্থা। এ নামে নিবন্ধনভুক্ত দ্বিতীয় কোনো সংগঠন নেই। পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছেন দেশের হক্কানী উলামায়ে কেরাম। কর্মী হিসেবে আছেন সুশিক্ষিত, প্রশিক্ষিত ও মেধাবী ব্যক্তিবর্গ। আলেম, আইনজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
দোয়া চাই সবার।
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের খেদমতে প্রতিবারের মতো এবারো ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ। ১১ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার টিম, ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ২৪ ঘণ্টা ইজতেমা ময়দানে নিয়োজিত ছিল সরকারি নিবন্ধিত বেসরকারি এই সংস্থা! শীর্ষস্থানীয় আলেম মরহুম মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের নামে এই নাম রাখা হয়েছে। ঢাকার মুহাম্মদপুরে অবস্থিত এর কেন্দ্রীয় অফিস। এ সংস্থার অধীনে […]
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৬ পিএম প্রতি বছরের মতো এবারের রমজানেও কল্যাণমূলক নানা কর্মসূচি সম্পন্ন করছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ। বেসরকারি সেবা সংস্থাটির দায়িত্বশীলরা জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, নীলফামারী, হালুয়াঘাট, জালালগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট, মাদারীপুর, নোয়াখালী, রাজবাড়ী, বরিশালের সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে সেহেরি ও ইফতারির আয়োজন করে এই সোসাইটি। […]
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। বাংলাদেশে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার প্রসার, আধ্যাত্মিক সাধনা, ইসলামী জ্ঞান-গবেষণা ও ইসলামী রাজনীতির ইতিহাসে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন। সম্প্রতি সেবা সংস্থা ‘হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’ জয়েন্ট […]
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ। সংস্থাটির সরকারী নিবন্ধন নং- S-13879/2022। ওলামায়ে কেরামের পরামর্শে পরিচালিত হাফেজ্জী চ্যারিটেবল স্যোসাইটি অব বাংলাদেশের মানুষ ও মানবতার সেবায় কাজ করে থাকে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করাই সংস্থাটির মূল […]